আফিম উৎপাদনে মিয়ানমার শীর্ষে

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসার পর এখন আফিম উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। মিয়ানমারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ সীমিত হওয়ায় কৃষকরা পপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এর আগে আফগানিস্তান ছিলো আফিম উৎপাদনে শীর্ষে। কিন্তু, আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা পপি চাষ ব্যপক হারে হ্রাস করে ফেলে যা্র ফলশ্রুতিতে আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন কমে যাওয়ায় তাদেরকে ছাড়িয়ে গেছে মিয়ানমার।

আরও পড়ুনঃকর্ণফুলী নদীতে ডুবে গেলো জাহাজ 

অন্যদিকে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের অর্থনীতি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি এবং মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে আফিমসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্যের উৎপাদনকে আকর্ষণীয় বিকল্প বা জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসব কারণে মিয়ানমারে কৃষকেরা বেশি পরিমাণে পপি চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জাতিসংঘের অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন :  রুশ নারীদের কমপক্ষে ৮টি করে সন্তান নেয়ার আহ্বান পুতিনের

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন প্রায় ৯৫% কমে যাওয়ায় চলতি বছর মিয়ানমারে আফিমের উৎপাদন আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। আফিম উৎপাদনে এখন মিয়ানমারই শীর্ষে। কারণ, মিয়ানমারে চলতি বছর আফিমের উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৩৬% বেড়ে ১০৮০ টনে উন্নীত হয়েছে।

বিশ্বে মাদকের মধ্যে অন্যতম হলো হেরোইন। হেরোইনের মূল উপাদান হচ্ছে আফিম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ হেরোইনের উৎস হচ্ছে মিয়ানমার ও আফগানিস্তান। মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাওসের সীমান্ত এলাকায় আফিম ও হেরোইন উৎপাদিত হয় বেশি। এই তিন এলাকার মিলিত সীমান্তকে একত্রে বলা হয় ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’।

আরো পড়ুন :  গাছ কেটে ফেলায় প্রতিবেশীকে গুলি করে হত্যা

চলতি বছর মিয়ানমারে পপি চাষের পরিমাণ ১৮% বেড়ে এখন তা ১ লাখ ১৬ হাজার ১৪০ একরে পরিণত হয়েছে। এছাড়া তাজা ও শুকনা আফিমের মূল্যও বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি তাজা আফিম ৩১৭ ডলার ও শুকনা আফিম ৩৫৬ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Comment