স্মার্টফোনের ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়

বর্তমানে বেশির ভাগ সময়ই কাটে স্মার্টফোনের স্ক্রিনে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ভুল করে হয়তো কোনো একটি অ্যাপে ঢুকলেন কিংবা অজানা লিঙ্কে ক্লিক করলেন। অনেক সময় এ ধরনের ক্লিকেই ডেকে আনতে পারে বিপদ। এসব লিংকে থাকতে পারে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার। ফলে স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশ করে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন– ফোন গরম হয়ে যাওয়া, ধীর গতিসহ এমন অনেক কিছুই। তাই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে মেনে চলা উচিত কয়েকটি সতর্কতা। 

অজানা লিঙ্কে প্রবেশ

সোশ্যাল মিডিয়ার এই সময়ে মাঝেমধ্যে কিছু অজানা লিঙ্কে ক্লিক হয়ে যায়। অজানা লিঙ্কে ক্লিক করলেই বিপদের আশঙ্কা। বহু লিঙ্ক থাকে, যা স্মার্টফোনের ফাংশন অকেজো করে দেয়। আবার কখনও এটি স্মার্টফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্যকে অনিরাপদ করে ফেলে। অজানা লিঙ্কের মাধ্যমে ডিভাইসে ভাইরাস ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। তাই ভাইরাস ঠেকাতে নিশ্চিত না হয়ে ভুলেও অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা উচিত নয়।

আরো পড়ুন :  ক্রোম ব্রাউজারে কোনো পাসওয়ার্ড লিক হলেই আসবে সতর্কবার্তা!

ইমেইলে হ্যাকারদের আকর্ষণীয় অফার

হ্যাকাররা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে আকর্ষণীয় অফারের ইমেইল পাঠায়। ওই সব ইমেইলে ছদ্মবেশে স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রক ভাইরাস লুকানো থাকে। ফলে ইমেইলের অফারে ক্লিক করামাত্রই স্মার্টফোনে ঢুকে পড়ে ভাইরাস। হ্যাকাররা অনেক সময় নতুন মুক্তি পাওয়া সিনেমার লিঙ্ক দিয়েও ব্যবহারকারীদের ইমেইল পাঠায়। তাই এ ধরনের ইমেইলে ক্লিক করার ক্ষেত্রে সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

সন্দেহজনক সাইট এড়িয়ে চলা

সাইট ভিজিট করার ক্ষেত্রে সন্দেহ থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ, বিভিন্ন ধরনের জাল ওয়েবসাইটে ম্যালওয়্যার যুক্ত হয়। ম্যালওয়্যার হলো এক ধরনের ভাইরাস। ছদ্মবেশী সাইট ভিজিট করার পর যেকোনো লিঙ্কে ক্লিক করলে স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

আরো পড়ুন :  মোবাইল ফোনে পানি ঢুকলে যা করনীয়

অ্যাপ ইনস্টলে সতর্কতা

স্মার্টফোনে অ্যাপ ইনস্টলে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে স্টোর আর আইফোনের অ্যাপ স্টোর আছে। দুটি অফিশিয়াল প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অ্যাপ ইনস্টলে  সতর্ক থাকতে হবে। ক্ষতিকর কোনো অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে রাখার অনুমোদন দেওয়া হয় না। যদি আনঅফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এপিকে ফাইলের সাহায্যে অ্যাপ ইনস্টল করা যেতে পারে।

ফ্রি ওয়াইফাই ঝুঁকিপূর্ণকোথাও বেড়াতে গেলে হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁয় গিয়ে বিনামূল্যে ওয়াইফাই ইন্টারনেটে সংযুক্ত হন অনেকে। এটি থেকে সতর্ক হতে হবে। কারণ, নেটওয়ার্ককে টার্গেট করেও স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশের ঘটনা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: ইউএস নিউজ, ম্যালওয়ার বাইটস

Leave a Comment