খাদ্যের বাড়তি দাম নিয়ে বাংলাদেশের ৭১ শতাংশ পরিবারের উদ্বেগ

sorupinfo price compare

খাদ্যের বাড়তে থাকা দাম বাংলাদেশের ৭১ শতাংশ পরিবারের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে এক বছর ধরেই খাদ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান।

‘খাদ্যনিরাপত্তা’ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক নিয়মিত এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এবারের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় গত ডিসেম্বর মাসে।

খাদ্যের বাড়তি দাম নিয়ে বাংলাদেশের ৭১ শতাংশ পরিবারের উদ্বেগ

বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হারের ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে চারটি শ্রেণিতে রেখেছে। বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খাদ্যের মূল্যস্ফীতি শ্রেণিতে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ হিসাবে (অক্টোবর–নভেম্বর) প্রতিবেশী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ভুটান ও নেপালে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশ কম ছিল। অনেক বেশি ছিল পাকিস্তানে।

সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, দেশে এখন মোট পরিবার বা খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিবেচনায় নিয়ে হিসাব করে দেখা যায়, প্রায় ২ কোটি ৯১ লাখ পরিবারের জন্য খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া উদ্বেগের বিষয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেশি বেড়ে গেলে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী গরিব হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যায়। গত বছর শুরুর দিকে আমরা একটি গবেষণা করেছিলাম; তখন দেখেছি, দেশের নিম্ন আয়ের ৭০ শতাংশ পরিবার খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।’

বিশ্বব্যাংক আরও বলছে, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে খাদ্যশস্য আমদানি (আমদানি বিল পরিশোধ বিবেচনায়) ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। শস্য নয়, এমন খাদ্যপণ্য আমদানি কমেছে ২০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে যা যা আছে

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কিছুটা পিছিয়ে আছে। সরকার আপৎকালীন মজুত করছে। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর দেশে আপৎকালীন খাদ্যশস্য (চাল ও গম) মজুতের পরিমাণ ছিল সাড়ে ১৮ লাখ টন, যা গত জুনে ছিল ১৭ লাখ ৬০ হাজার টন। সরকার লক্ষ্যের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি চাল সংগ্রহ করেছে।

বিশ্বব্যাংক আরও বলছে, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে খাদ্যশস্য আমদানি (আমদানি বিল পরিশোধ বিবেচনায়) ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। শস্য নয়, এমন খাদ্যপণ্য আমদানি কমেছে ২০ শতাংশ।

চালের দাম এক বছর ধরে প্রায় স্থিতিশীল আছে বলে উল্লেখ করা হয় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। আরও জানানো হয় যে গত এপ্রিল মাস থেকে সরু চালের দাম কমেছে।

বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সেটি রয়েছে উচ্চমূল্যে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বাজারে মোটা চালের প্রতি কেজির দর ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। মোটা চালের দাম এরপর থেকে বাড়তে বাড়তে ৫০ টাকার আশপাশে ওঠে। সেটা আর তেমন কমেনি। এখন মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

টিসিবির তথ্যে আরও দেখা যায়, ওই সময় বাজারে খোলা আটার প্রতি কেজির দর ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। একইভাবে অনেকটাই বেড়েছে ভোজ্যতেল, চিনি, ডালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। যেমন মোটা দানার মসুর ডালের দাম ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এখন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা।

মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়েছিল করোনাকালের শুরুতে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর বিশ্ববাজারে খাদ্যসহ বেশির ভাগ পণ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ে। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমতে থাকে। ফলে বাড়তে থাকে মার্কিন ডলারের দাম, যা পণ্য আমদানির খরচ বাড়িয়ে দেয়।

টিসিবির তথ্যে আরও দেখা যায়, ওই সময় বাজারে খোলা আটার প্রতি কেজির দর ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। একইভাবে অনেকটাই বেড়েছে ভোজ্যতেল, চিনি, ডালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। যেমন মোটা দানার মসুর ডালের দাম ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এখন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা।

২০২২ ও ২০২৩ সালের বেশির ভাগ সময় মাছ, মাংস, সবজি এবং নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম বাড়তি ছিল। সরকারও জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়িয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেশে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির পেছনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটা প্রভাব ছিল। এখন সেটি কমে এলেও ডলারের দাম কমছে না। ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আমদানি করা পণ্যের দাম খুব বেশি কমবে বলে মনে হয় না।

কেন ‘লাল’ শ্রেণিতে বাংলাদেশ

খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কোন দেশে কতটা বেশি, তা বোঝাতে বিভিন্ন দেশকে চার শ্রেণিতে ভাগ করেছে বিশ্বব্যাংক। যেসব দেশের খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশ বা এর বেশি, সেসব দেশকে ‘বেগুনি’; ৫-৩০ শতাংশের মধ্যে হলে ‘লাল’; ২-৫ শতাংশের মধ্যে হলে ‘হলুদ’ এবং ২ শতাংশের কম খাদ্যের মূল্যস্ফীতির দেশগুলোকে ‘সবুজ’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ২০২৩ সালজুড়েই (নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব) ‘লাল’ শ্রেণিতে ছিল। এ শ্রেণিতে বাংলাদেশের সঙ্গী ৭১টি দেশ, যার মধ্যে রয়েছে উগান্ডা, লাওস, মিশর, হন্ডুরাস, কেনিয়া, ইরান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোতে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি অনেকটাই কমেছে। উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে গত বছর সাড়ে ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। তবে গত জুলাই থেকে মূল্যস্ফীতির হার বাড়েনি; বরং মূল্য সংকুচিত হচ্ছে। অর্থাৎ, গত বছর যে দাম ছিল, তার চেয়ে কমেছে। নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় খাদ্যমূল্য সংকুচিত হয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ আগের বছর খাদ্য কিনতে ১০০ রুপি ব্যয় হলে, এবার লাগছে ৯৬ দশমিক ৪০ রুপি।

ধনী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও খাদ্যের মূল্যস্ফীতি অনেকটা কমিয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাদের খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের বেশি, যা গত নভেম্বরে ৩ শতাংশের নিচে নামে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যায়, খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে বেড়ে নভেম্বরে সাড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, যা ছিল এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুধু খাদ্যের মূল্যস্ফীতি নয়; সার্বিক মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে। গত মার্চ মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি ছিল।

সরকার নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ দেয়। এটা দেওয়া হয় মাসে একবার, পরিমাণ এক থেকে দুই কেজি করে। খোলাবাজারে কম দামে চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। তবে অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, কম দামে খাদ্যপণ্য বিক্রির আওতা বাড়ানো দরকার। কারণ, স্বল্প আয় ও নিম্নমধ্যবিত্ত অনেক পরিবার এ সুবিধার বাইরে রয়েছে।

রাজধানীর একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক পদে চাকরি করেন মিরপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী। দুই ছেলে, স্ত্রীসহ চারজনের সংসার তাঁর। বছর দুয়েক আগেও স্বাচ্ছন্দে৵র সঙ্গেই সংসার চালাতেন তিনি। কিছু সঞ্চয়ও করতে পারতেন। তিনি বলেন, এক-দেড় বছর ধরে সঞ্চয় করতে পারেন না; বরং খাবারের ব্যয়ে কাটছাঁট করতে হয়েছে।

মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, সংসারের ব্যয় ৩০ শতাংশের মতো বেড়েছে; কিন্তু আয় তো সেভাবে বাড়েনি।

টেসলার নতুন রোবট ডিম ভাজতে পারে!

images 3

অপ্টিমাস রোবটের নতুন সংস্করণ প্রকাশ্যে এনেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা জায়ান্ট টেসলা। গত ১৩ ডিসেম্বর এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে নতুন রোবট প্রকাশ্যে আনে টেসলা অপ্টিমাস। ভিডিওতে রোবটটিকে ব্যায়াম করতে ও ডিম ভাজতে দেখা গেছে।

আরো পড়ুন:খেজুরের কাঁচা রসে ভয়ংকর নিপা ভাইরাস

এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে জানা যায়, টেসলার মানবসদৃশ রোবটটির ফার্স্ট লুকের দেখা মিলেছিল গত বছর। এটিকে টেসলা প্রদান ইলন মাস্কের কায়িক শ্রমকে স্বয়ংক্রিয় করা ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অপ্টিমাস রোবটের দ্বিতীয় প্রজন্মের কার্যকারিতা ও সেন্সর এর আগের সংস্করণের চেয়ে উন্নত। টেসলার দাবি, পূর্বসূরির তুলনায় ৩০ শতাংশ দ্রুত কাজ করতে সক্ষম এটি। এমনকি রোবটের ভারসাম্য উন্নত করার পাশাপাশি এর ভরও ১০ কেজি পর্যন্ত কমানো হয়েছে।

অপটিমাস রোবট নিয়ে টেসলার লক্ষ্য, এমন এক স্বয়ংক্রিয় রোবট তৈরি করা, যা বিপজ্জনক, পুনরাবৃত্তিমূলক বা স্পর্শকাতর কাজ করতে সক্ষম হবে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে দেওয়া পোস্টে ইলন মাস্ক বলেন, রোবটটি আগামী বছরের মধ্যেই সুঁইয়ে সুতা ভরতে পারবে। মাস্ক মনে করেন, তাঁর কোম্পানির বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসাকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে মানবসদৃশ এ রোবটের।

২০২১ সালে রোবট বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়ার সময় মাস্ক বলেছিলেন, ভবিষ্যতে কায়িক শ্রমও একটি বাছাই করার মতো বিষয় হবে। অর্থনৈতিক খাতেও এর বড় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দ্বিতীয় প্রজন্মের অপ্টিমাস রোবট টেসলার জন্য বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ এক বছর আগে কোম্পানিটি রোবটের এমন এক প্রটোটাইপ প্রকাশ করেছিল, যা হাঁটতে পর্যন্ত পারতো না।

নতুন অপ্টিমাস রোবটটি বাজারে আনার আনুষ্ঠানিক তারিখ বা এর দাম সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য দেয়নি টেসলা। মাস্কের তথ্য অনুসারে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে রোবটের বাণিজ্যিক সংস্করণ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

আফিম উৎপাদনে মিয়ানমার শীর্ষে

Gaza 7

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসার পর এখন আফিম উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। মিয়ানমারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ সীমিত হওয়ায় কৃষকরা পপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এর আগে আফগানিস্তান ছিলো আফিম উৎপাদনে শীর্ষে। কিন্তু, আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা পপি চাষ ব্যপক হারে হ্রাস করে ফেলে যা্র ফলশ্রুতিতে আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন কমে যাওয়ায় তাদেরকে ছাড়িয়ে গেছে মিয়ানমার।

আরও পড়ুনঃকর্ণফুলী নদীতে ডুবে গেলো জাহাজ 

অন্যদিকে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের অর্থনীতি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি এবং মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে আফিমসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্যের উৎপাদনকে আকর্ষণীয় বিকল্প বা জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসব কারণে মিয়ানমারে কৃষকেরা বেশি পরিমাণে পপি চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জাতিসংঘের অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন প্রায় ৯৫% কমে যাওয়ায় চলতি বছর মিয়ানমারে আফিমের উৎপাদন আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। আফিম উৎপাদনে এখন মিয়ানমারই শীর্ষে। কারণ, মিয়ানমারে চলতি বছর আফিমের উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৩৬% বেড়ে ১০৮০ টনে উন্নীত হয়েছে।

বিশ্বে মাদকের মধ্যে অন্যতম হলো হেরোইন। হেরোইনের মূল উপাদান হচ্ছে আফিম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ হেরোইনের উৎস হচ্ছে মিয়ানমার ও আফগানিস্তান। মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাওসের সীমান্ত এলাকায় আফিম ও হেরোইন উৎপাদিত হয় বেশি। এই তিন এলাকার মিলিত সীমান্তকে একত্রে বলা হয় ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’।

চলতি বছর মিয়ানমারে পপি চাষের পরিমাণ ১৮% বেড়ে এখন তা ১ লাখ ১৬ হাজার ১৪০ একরে পরিণত হয়েছে। এছাড়া তাজা ও শুকনা আফিমের মূল্যও বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি তাজা আফিম ৩১৭ ডলার ও শুকনা আফিম ৩৫৬ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

গাছ কেটে ফেলায় প্রতিবেশীকে গুলি করে হত্যা

Gaza 6

উত্তরপ্রদেশের বিজনরে গাছ কাটা নিয়ে প্রতিবেশীকে গুলি করে হত্যা করলেন ভারতের জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা ভুপিন্দর সিং। খামারবাড়ির পাশে বেড়ে ওঠা গাছটির মালিক কে, সেটি নিয়েই ওই বাড়ির মালিকের সঙ্গে দ্বন্দ শুরু হয় ভূপিন্দর সিং-এর।

অভিনেতা ভূপিন্দর সিং-এর  উত্তরপ্রদেশের কুয়ানখেদা গ্রামের বাড়িতে একটি খামারবাড়ি রয়েছে। খামারে বেড়া দেওয়ার জন্য ভুপিন্দর কয়েকটি ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেন।খামারের পাশেই প্রতিবেশী গুরদীপ সিংয়ের কৃষি জমি।সেখানে কয়েকটি  ইউক্যালিপট্যাস গাছ ছিল। ওই গাছ কাটা নিয়ে প্রতিবেশী গুরদীপের সঙ্গে ভুপিন্দরের কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে মারামারিতে লিপ্ত হন তারা। এরপর ভুপিন্দর ও তার তিন সহযোগী গুরদীপ সিংয়ের পরিবারের উপর হামলা করে।

আরও পড়ুনঃ কর্ণফুলী নদীতে ডুবে গেলো জাহাজ

মারামারি শুরু হলে ভূপিন্দর সিং রাগের মাথায় নিজের লাইসেন্স করা রিভালভার বের করে প্রতিপক্ষের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এ সময় ভুপিন্দরের গুলিতে ঘটনাস্থলেই গুরদীপের ২২ বছরের ছেলে গোভিন্দ নিহত হন এবং গুরদীপ সিং, তার আরেক ছেলে বুটা সিং এবং স্ত্রী মীরাবাই  আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওইদিনই, মৃত গোভিন্দ-র মামা বাদী হয়ে অভিনেতা ভূপিন্দর সিং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ভুপিন্দর সিংকে হত্যা, হত্যাচেষ্টা এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে আঘাত করাসহ আরো কয়েকটি অভিযোগে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। এসময়  অভিনেতার সহযোগীরা পলাতক  থাকলেও পরবর্তীতে পুলিশ তার তিন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এনডিটিভি।

১৯৯৮ সালে ‘শাম ঘনশাম’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি ‘৮৫৭ ক্রান্তি’, ‘ইয়ে পেয়ার না হোগা কাম’, ‘মধুবালা—এক ইশক এক জুনুন’, ‘এক হাসিনা থি’, ‘তেরে শেহের মে’, ‘কালা টিকা’ ও ‘রিশতেঁ কা চক্রব্যূহ’ সহ আরো বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।

কোরআন পোড়ালে হতে পারে ২বছরের জেল

Gaza 4

এবার প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ালে হবে ২বছরের জেল। ডেনমার্কের পার্লামেন্টে এমনই  একটি আইন পাশ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর)।

চলতি বছরে ডেনমার্ক ও সুইডেনে ইসলাম বিরোধীরা কয়েকবার প্রকাশ্যে কোরআন পুড়িয়ে কোরআনের অবমাননা করে। এ ঘটনায় বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। এমন ঘটনা ঠেকাতে দেশ দুটিতে কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধের জন্য আহ্বান জানায় মুসলিম দেশগুলো।

আরও পড়ুনঃ বাড়লো হজ্ব নিবন্ধনের মেয়াদ

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরিফ পোড়ানো বেআইনি ঘোষণা করে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে একটি আইন পাশ হয় যেখানে উল্লেখ করা হয়, এই আইন লঙ্ঘন করলে জরিমানা বা দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

পাশাপাশি, সুইডেনও আইনসম্মতভাবে কোরআনের অবমাননা ঠেকানোর বিষয় বিবেচনা করছে।

ডেনমার্ক ও সুইডেনের অভ্যন্তরীণ সমালোচকরা মনে করেন, কোরআন পোড়ানো বন্ধসহ ধর্মের সমালোচনা সীমিত করার উদ্যোগ অঞ্চলটির দীর্ঘ লড়াইয়ে অর্জিত উদার স্বাধীনতাকে খর্ব করবে।অন্যদিকে, মধ্যপন্থি জোট সরকার দাবি করেছে, এই নতুন আইনে মুক্ত মতের ওপর প্রভাব খুব সামান্য পড়বে এবং অন্যান্য পন্থায় ধর্মের সমালোচনা বৈধ থাকবে।

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৭০০ জন ছাড়িয়েছে

Gaza 2

গত দুই মাসে গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর  অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজারের বেশি।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ও স্থল বাহিনী।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং জিম্মি করা হয়েছিলো ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা, নিহত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৪৮ হাজার ৭৮০ জন।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী স্কুল-হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতেও হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর মতে, আত্মরক্ষার স্থান হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠানে নিজেদের গোপন ঘাঁটি করেছে হামাস। তবে হামাস আইডিএফের এই বক্তব্য প্রতিবারই অস্বীকার করে আসছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রোববার একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুই স্বাস্থ্যকর্মী। এই স্বাস্থ্য কর্মীরা রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলেন।

 

সুত্রঃ Dhaka Post

১০ ডিসেম্বর-বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ

Gaza 1

আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর এই বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়।

১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ এই দিনটি পালনের ঘোষণা দেয়।এর ফলে স্বীকৃত হয় যে,  জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করে থাকে। জাতিসংঘের এই ঘোষণাপত্রে ৩০টি অনুচ্ছেদে প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশেও মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

এই দিনে দেশের বিভিন্ন প্রকার মানবাধিকার সংগঠনগুলো আজ  মানববন্ধন ও আলোচনা সভাসহ নানা রকম কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে। ‘ডিগনিটি, ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস ফর অল’ বা ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’ এই প্রতিপাদ্যে (১০ ডিসেম্বর) পালিত হবে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হতে সকল মানুষ ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি গণমুখী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উপস্থাপন, মানবাধিকার বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও বিভিন্ন জেলা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়াও, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত মানুষের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

 

সুত্রঃ Dhaka Post

ইসরায়েলে ১৪ হাজার গোলা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Gaza

ইসরায়েলকে জরুরিভিত্তিতে ট্যাংকের ১৪ হাজার গোলা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে এ তথ্যটি জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রয়টার্স-এর এক  প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসরায়েলকে সর্বমোট ৪৫ হাজার গোলা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের কাছে এসব গোলা ১০৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করা হবে। এখনকার দেয়া এই ১৪ হাজার গোলা ওই ৪৫ হাজার গোলার চুক্তিরই অংশ।

যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ বিক্রি করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেটি সংসদের নিম্নকক্ষ কংগ্রেস পর্যালোচনা করে তারপর সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।কিন্তু এখানে সংসদের নিম্নকক্ষ কংগ্রেসের পর্যালোচনা ছাড়াই জো বাইডেন নিজের বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এসব গোলা ইসরায়েল মারকাভা ট্যাংকে ব্যবহার করবে। এসব গোলা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে, ব্যবহৃত এই ট্যাংকের গোলার আঘাতে গাজায় শত শত সামরিক ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ শুরুর পরের দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্ ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে । আবার এসব অস্ত্রে মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিনিরাই। এর পরেও  ইসরায়েলকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো শর্ত দেওয়া হচ্ছেনা।

অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় বেসামরিকদের হতাহতের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে খোদ মার্কিনিরাই, অপরদিকে তারাই আবার ইসরায়েলকে মারণাস্ত্র দিচ্ছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে  ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান নিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। তবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

 

সুত্রঃ Dhaka Post

নারীর চোখ থেকে বের হলো ৬০টি কৃমি

images

নারীর চোখে অস্ত্রপোচার করে ৬০টির বেশি জীবিত কৃমি বের করলেন চিকিৎসকরা। এমন ঘটনা ঘটেছে চীনে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রোপচার হওয়া ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। ওই নারীর চোখে চুলকানি ছিল। পরে যন্ত্রণা আরও বেড়ে গেলে চোখ ঘষার পর তিনি দেখতে পারেন যে, একটি কৃমি বের হয়েছে। এরপরই চীনের কুনমিং শহরের ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হন।

পরে ওই নারীর চোখে পরীক্ষা চালিয়ে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরাও। তাঁরা দেখতে পান যে, ওই নারীর চোখের মণি ও পাতার মধ্যে জীবিত কৃমি রয়েছে। পরে অস্ত্রোপচার চালিয়ে ওই নারীর ডান চোখ থেকে ৪০টির বেশি ও বাঁ চোখ থেকে ১০টির বেশি কৃমি বের করা হয়।  চিকিৎসকরা জানান, ওই নারীর চোখ থেকে ৬০টির বেশি জীবিত কৃমি বের করা হয়েছে।

এই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেওয়া চিকিৎসক গুয়ান বলেন, এমন ঘটনা বিরল। চিকিৎসকদের ধারণা, নারীটি ফিলারিওডিয়া ধরনের গোলকৃমি দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল। এটি সাধারণত মাছির মাধ্যমে ছড়ায়।

তবে ওই নারী ধারণা করছেন যে, কুকুর বা বিড়ালের থেকে তাঁর দেহে এ কৃমি প্রবেশ করেছে।  অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা ওই নারীকে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

সমস্ত গাজা জুড়ে ইসরায়েলী বিমান হামলা

Gaza

গতকাল এবং আজ শুক্রবার মিলে সমস্ত গাজা জুড়ে ইসরায়েলী বিমান হামলা ছিলো অন্যদিনের তুলোনায় অধিকতর।

গাজা উপত্যকার বড় বড় শহরগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যকার গত দুই দিনের সংঘটিত বিমান হামলা ও সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজা উপত্যকায় এই হামলা নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কঠোর সমালোচনার মাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছেন।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইসরায়েল সরকারের দেয়া কথামতে, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত ও হতাহতের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে তিনি তার দেয়া নিজের কথা রাখতে পারেন নি।’

এছাড়াও, গত বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোতে বৈঠক করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বৈঠককালে তারা ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেন। এছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ব্যর্থতা।’

ইসরায়েলের প্রকাশিত এক টিভি ফুটেজে দেখানো হয়, গাজার রাস্তায় ইসরায়েলীদের হাতে বন্দী কয়েকজন হামাস সদস্য মাথানত করে তাদের সামনে বসে আছেন। তবে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এর পক্ষে কোন রকম সত্যতার প্রমান পায়নি। এদিকে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েকজন বলেছেন, ‘টিভিতে যাঁদের দেখানো হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে হামাস বা অন্য কোনো দলের কোনো সম্পর্ক নেই। হামাসের বিপক্ষে এটা ইসরায়েলীদের সাজানো ষড়যন্ত্র।’