২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

Gaza 29

যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবার যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টেটি। আজ শুক্রবার ৫ জানুয়ারি এই আসরের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি।

আগামী ১ জুন মার্কিন মুলুকে পর্দা উঠবে নবম আসরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের । ৭ জুন ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে ৯ (যুক্তরাষ্ট্রের ৩টি এবং উইন্ডিজের মাটিতে ৬টি) ভেন্যুতে হবে এবারের বিশ্বকাপ। ২৯ দিনব্যাপী টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৯ জুন, বার্বাডোজে।

এছাড়া উল্লেখযোগ্য ম্যাচগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা (৩ জুন), ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া (৮ জুন), ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড (১২ জুন)। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া উগান্ডা প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের (৩ জুন) মোকাবিলা করবে। আর হাইভোল্টেজ ম্যাচে আগামী ৯ জুন মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান।

কোন গ্রুপে কারাঃ

গ্রুপ ‘এ’ : ভারত, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।

 

গ্রুপ ‘বি’ : ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া ও ওমান।

 

গ্রুপ ‘সি’ : নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।

 

গ্রুপ ‘ডি’ : বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।

 

ম্যাচ ফিক্সচারঃ

Untitled design

 

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি

Gaza 28

আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। টুর্নামেন্টটির আয়োজন করবে যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র।

এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে নতুন ফরমাটে। চলতি বছরের ১ জুন পর্দা উঠবে টুর্নামেন্টটির এবং ২৯ জুন ফাইনাল দিয়ে তা শেষ হবে।

এই বছর মোট ২০টি দল সরাসরি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টটিতে অংশগ্রহণ করবে। দলগুলোকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপে রয়েছে পাঁচটি করে দল। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষে থাকা দুটি দল সুপার এইটে উঠবে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, ডালাস ও নিউইয়র্কে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আর উইন্ডিজের ৬টি ভেন্যুতে খেলা হবে।

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। সেই খেলার ভেন্যু হলো ডালাস। ১৮ জুন পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের খেলা চলবে। কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু হবে ১৯ জুন। শেষ হবে ২৪ জুন। সেমিফাইনাল ২৬ এবং ২৭ জুন। প্রথম সেমিফাইনাল হবে গায়ানায়। দ্বিতীয় সেমিফাইনালটি গড়াবে ত্রিনিদাদে।

বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় ও শেষ  টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

Gaza 26

বছরের শেষ দিনে ভোর ৬ টায় শুরু হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় ও শেষ  টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আগামীকাল রোববার মাউন্ট মুঙ্গানুইতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

জিতলেই সিরিজ বিজয়ের অনন্য কৃতিত্ব অর্জন হবে টাইগারদের। অন্যদিকে,  গতকাল শুক্রবারের ম্যাচের মত শেষ ম্যাচটিও যদি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে ১-০‘তে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশই হবে সিরিজ বিজয়ী। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ বিজয়ের অনন্য কৃতিত্ব অর্জিত হবে।

নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড দলকে মোট ১৩৪ রানে আটকে দিয়ে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে শান্তর দল।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসও পুরো শেষ করা যায়নি। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের অর্ধেক যেতেই নেমে আসে বৃষ্টি। ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও বাংলাদেশের খেলা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও বেশ ফর্মে ছিলো।

দুই পেসার শরিফুল ইসলাম আর তানজিম সাকিব একটি করে উইকেট পান। অপরদিকে উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। ৩ ওভারে রান দিয়েছে মাত্র ১০।

সবার ভালো খেলার দরুন সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আগামীকাল মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে জিতলো বাংলাদেশ

Gaza 23

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জেতার পর এবার প্রথমবারের মতো ওয়ানডে জিতলো বাংলাদেশ । নেপিয়ারে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথমবার ঐতিহাসিক ওয়ানডে জয়ে সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সিরিজ হাতছাড়া হয়ে  যায় প্রথম ২ ম্যাচে হার দিয়ে। তবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের জন্য ছিল অনেকদিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুই দলের জন্যই ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল। ঘরের মাঠে টানা ১৭ ম্যাচ জেতা নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই সর্বোচ্চ ১৮ ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড গড়া অস্ট্রেলিয়ারকে ছুঁয়ে ফেলতো।

অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এ পর্যন্ত তাদের বিপক্ষে ১৮টি ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশ সব কটিতে হেরেছে। এই একটি ওয়ানডে জয় তাদের জন্যও একটি রেকর্ড ভাঙ্গার অবলম্বন।  অবশেষে সে লক্ষ্যে সফল হলো লিটন-শান্তরা। নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে হারাল বাংলাদেশ। পাশাপাশি, ২০০৭ সালের পর ঘরের মাঠে এটিই তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড, যা ১ উইকেটে হারিয়ে টপকে যায় বাংলাদেশ। কিউইদের মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেট আর ২০৯ বল হাতে রেখে জিতেছে লিটন-শান্তর দল।

টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকার-এর অসাধারণ বোলিংয়ে ৩১.৪ ওভারে ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

৪ রান করে একটা সমস্যার কারনে রিটায়ার্ড হয়ে ফিরতে হয় সৌম্যকে। এরপর বিজয় আর নাজমুল হোসেন শান্তর মারমুখী ব্যাটিং -এ ৫০ বলের জুটিতে ৬৯ রান তুলে তারা জয় নিশ্চিত করে ফেলেন। ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় থেকে মাত্র ১৫ রান দূরে থাকতে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বিজয়।

পরবর্তীতে লিটন কে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শান্ত। ৪২ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি এবং ১ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস।

স্মরণীয় ঐতিহাসিক এই  জয়ে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ছিলো বোলারদের। বাংলাদেশ দলের পেসাররা সুইং কন্ডিশন ও গতিময় বাউন্সি উইকেট পেয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনকে পুরোপুরি ভাবে বিধ্বস্ত করে দেয়।

 

আজর ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর

নিউজিল্যান্ড : ৯৮ (৩১.৪)ওভার

(ইয়াং ২৬, ল্যাথাম ২১, ক্লার্কসন ১৬)

( তানজিম ৩/১৪, সৌম্য ৩/১৮, শরীফুল ৩/২২, মোস্তাফিজ ১/৩৬)

 

বাংলাদেশ : ৯৯.১ (১৫.১)ওভার

(নাজমুল ৫১*, এনামুল ৩৭, সৌম্য ৪* (রিটায়ার্ড) , লিটন ১*)

(রুরক ১/৩৩)

 

ফলাফল : বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী।

 

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তানজিম হাসান।

 

সিরিজ ফলাফল : নিউজিল্যান্ড ২–১ ব্যবধানে জয়ী।

 

নিলাম শেষে ১০ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড

Gaza 20

প্রথমবারের মতো দুবাইয়ে আইপিএলের ১৭তম আসরের নিলাম অনু্ষ্ঠান শেষে ১০ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড প্রকাশ পেলো। নামে মিনি হলেও টাকার অঙ্কে ছাড়িয়ে গেছে আগের সব মেগা ইভেন্টকেও। সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছেন কিছু খেলোয়াড়।

সর্বোচ্চ ২৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় রেকর্ড দামে বিশ্বকাপজয়ী মিচেল স্টার্ককে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। অন্যদিকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বিশ্বজয়ী অধিনায়ক পেসার প্যাট কামিন্সকে দলে ভিড়িয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া আইপিএল ২০২৪-এর ১৭তম আসরে মোট ৩৩৩ জন ক্রিকেটারের নাম আসে। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে দল পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশী এই বাঁহাতি পেসারকে ২ কোটি রুপিতে চেন্নাই সুপার কিংস দলে ভিড়িয়েছেন।

এবারের আসরে ৭২ জন ক্রিকেটার কিনতে আইপিএলের দলগুলো খরচ করেছে ২৩০ কোটি ৪৫ লাখ রুপি।

এর মধ্যে চেন্নাই সুপার কিংস ৩০ কোটি রুপি, দিল্লি ক্যাপিটালস খরচ করেছে ২২ কোটি রুপি, লখনৌ সুপার জায়ান্টের খরচ ১২ কোটি ২০ লাখ, পাঞ্জাব কিংস ব্যয় করেছে ২৫ কোটি রুপি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ২০ কোটি ২০ লাখ রুপি,  কলকাতা নাইট রাইডার্স খরচ করেছে প্রায় ৩০ কোটি রুপি, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স খরচ করেছে ১৬ কোটি রুপি, রাজস্থান রয়্যালস খরচ করেছে ১৪ কোটি ৩০ লাখ রুপি, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপি ও গুজরাট টাইটান্স ৩১ কোটি রুপি খরচ করেছে।

 

আইপিএল ২০২৪-এর ১৭তম আসরের ১০ দলের স্কোয়াড হলোঃ

চেন্নাই সুপার কিংসঃ

রিটেইন

মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), ডেভন কনওয়ে, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, তুষার দেশপান্ডে, আজিঙ্কা রাহানে, শিভম দুবে, মঈন আলী, রবীন্দ্র জাদেজা, দীপক চাহার, মাহেশ থিকশানা, মাথিশা পাথিরানা, মুকেশ বরুণ, নিশান্ত সিন্ধু, প্রশান্ত সোলাঙ্কি, রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার, অজয় মন্ডল, মুকেশ চৌধুরি, সিমারজিৎ সিং, শেখ রশিদ এবং মিচেল স্যান্টনার।

নিলাম

রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারিল মিচেল, শার্দুল ঠাকুর, সামির রিজভী, মুস্তাফিজুর রহমান, আভানিশ রাও।

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ

রিটেইন

ডেভিড ওয়ার্নার, ইশান্ত শর্মা, কুলদীপ যাদব, অভিষেক পোরেল, অ্যানরিখ নরকিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ললিত যাদব, লুঙ্গি এনগিদি, মিচেল মার্শ, মুকেশ কুমার, প্রবীণ দুবে, ঋষভ পান্ত, পৃথ্বী শ, সৈয়দ খালিল আহমেদ, ভিকি ওস্টওয়াল এবং ইয়াশ ধুল।

নিলাম

হ্যারি ব্রুক, ট্রিস্টিয়ান স্টাবস, রিকি ভুঁই, কুমার কুশারগা, রাশিখ ধার, ঝাই রিচার্ডসন, সুমিত কুমার, শাই হোপ, স্বস্তিক চিকারা।

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসঃ

রিটেইন

লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক, নিকোলাস পুরান, কাইল মেয়ার্স, দীপক হুডা, দেবদূত পাডিকাল, রবি বিষ্ণোই, নাভিন উল হক, ক্রুণাল পান্ডিয়া, যুধবীর সিং, আইয়ুশ বাদোনি,  প্রিয়াঙ্ক মানকাড়, ইয়াশ ঠাকুর, অমিত মিশ্র, মার্ক উড, মায়াঙ্ক যাদব এবং মহসিন খান।

নিলাম

শিভাম মাভি, আরশিন কুলকার্নি, মানিমারান সিদ্ধার্থ, অ্যাস্টন টার্নার, ডেভিড উইলি, আরশাদ খান।

পাঞ্জাব কিংসঃ

রিটেইন

শিখর ধাওয়ান, রিশি ধাওয়ান,  জনি বেয়ারস্টো, জিতেশ শর্মা, প্রভসিমরান সিং, ম্যাথু শর্ট, হারপ্রীত ভাটিয়া, অথর্ভ টাইডে, স্যাম কারান, সিকান্দর রাজা, লিয়াম লিভিংস্টোন, গুরনুর সিং ব্রার, শিভম সিং, রাহুল চাহার, আর্শদীপ সিং, হারপ্রীত ব্রার, বিদ্বথ কাভেরাপ্পা, কাগিসো রাবাডা এবং ন্যাথান এলিস।

নিলাম

রাইলি রুশো, ক্রিস ওকস, হার্শাল প্যাটেল, আশুতোষ শর্মা, বিশ্বনাথ সিং, তনয় থাগারাজন, প্রিন্স চৌধুরি, শশাংক সিং।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুঃ

রিটেইন

বিরাট কোহলি , ফাফ ডু প্লেসি (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মোহম্মদ সিরাজ, দীনেশ কার্তিক, রজত পাতিদার, রিস টপলি, উইল জ্যাকস, সূয়াশ প্রভুদেশাই, অনুজ রাওয়াত, মাহিপাল লমরোর, মনোজ ভান্ডাগে, কার্ন শর্মা, মায়াঙ্ক ডাগার, বিশাখ বিজয়কুমার, আকাশ দীপ, রাজন কুমার, হিমাংশু শর্মা।

নিলাম

আলজারি জোসেফ, ইয়াশ দয়াল, টম কারান, লকি ফার্গুসন, স্বপ্নীল সিং, সৌরভ চৌহান।

কলকাতা নাইট রাইডার্সঃ

রিটেইন

রিঙ্কু সিং, ভেঙ্কেটেস আইয়ার, নীতিশ রানা, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, শ্রেয়াস আইয়ার, জেসন রয়, সুনীল নারিন, সুহাশ শর্মা, অনুকুল রায়, আন্দ্রে রাসেল, হার্শিত রানা, বৈভব অরোরা ও বরুণ চক্রবর্তী।

নিলাম

মিচেল স্টার্ক, চেতন সাকারিয়া, কেএস ভরত, আঙ্কুর রাঘুবংশী, রমনদীপ সিং, শারফান রাদারফোর্ড, মানিষ পাণ্ডে, মুজিব উর রহমান, গাস অ্যাটকিনসন, সাকিব হোসেন।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সঃ

রিটেইন

হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, সূর্যকুমার যাদব, ইশান কিশান, তিলক ভার্মা, টিম ডেভিড, বিষ্ণু বিনোদ, অর্জুন টেন্ডুলকার, স্যামস মুলানি, নেহাল ওয়াধেরা, জসপ্রীত বুমরাহ, কুমার কার্তিকিয়া, পীযূষ চাওলা, আকাশ মাধওয়াল, জেসন বেহরেনডর্ফ, রোমারিও শেফার্ড।

নিলাম

জেরাল্ড কোয়েতজে, দিলশান মাদুশঙ্কা, শ্রেয়াস গোপাল, নুয়ান থুসারা, নোমান ধীর, আনশুল কাম্বোস, মোহাম্মদ নাবি, শিবলিক  শর্মা।

রাজস্থান রয়্যালসঃ

রিটেইন

সাঞ্জু স্যামসন (অধিনায়ক), জস বাটলার, শিমরন হেটমায়ার, যশস্বী জায়সাওয়াল, ধ্রুব জুরেল, রায়ান পরাগ, ডোনোভন ফেরেইরা, কুণাল রাঠোর, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ সেন, নবদীপ সাইনি, প্রসিধ কৃষ্ণা, সন্দীপ শর্মা, ট্রেন্ট বোল্ট, যুবেন্দ্র চাহাল, অ্যাডাম জাম্পা এবং আভেষ খান।

নিলাম

রভম্যান পাওয়েল, শিভাম দুবে, টম কোহলার-ক্যাডমোর।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদঃ

রিটেইন

নীতিশ কুমার রেড্ডি, আব্দুল সামাদ, এইডেন মার্করাম, রাহুল ত্রিপাঠি, গ্লেন ফিলিপস, হেনরিখ ক্লাসেন, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, আনমলপ্রীত সিং, উপেন্দ্র সিং যাদব, শাহবাজ আহমেদ, অভিষেক শর্মা, মার্কো জেনসেন, ওয়াশিংটন সুন্দর, সনভীর সিং, ভুবনেশ্বর কুমার, থাঙ্গারাসু নাটারাজন, মায়াঙ্ক মার্কান্ডে, উমরান মালিক এবং ফজল হক ফারুকি।

নিলাম

জয়দেব উনাদকাট, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, প্যাট কামিন্স, ট্রাভিস হেড, আকাশ সিং, ঝাতাভেদ সুব্রীমানিয়েন, আবিদন মুশতাক, নান্দ্রে বার্গার।

গুজরাট টাইটান্সঃ

রিটেইন

কেন উইলিয়ামসন, ডেভিড মিলার, শুভমান গিল, ম্যাথু ওয়েড, ঋদ্ধিমান সাহা, অভিনব মনোহর, সাই সুদর্শন, দর্শন নালকান্ডে, বিজয় শঙ্কর, জয়ন্ত যাদব, রাহুল তেওয়াটিয়া, মোহাম্মদ শামি, নুর আহমেদ, সাই কিশোর, রশিদ খান, জশ লিটল, মোহিত শর্মা।

নিলাম

আজমতউল্লাহ ওমরজাই, উমেশ যাদব, শাহরুখ খান, সুশান্ত মিশ্রা, কার্তিক তিয়াগী, মানব সুথার, স্পেন্সার জনসন, রবিন মিন্স।

সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল

Gaza 10

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর আজ শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করলো যুবারা।

প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পরই সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হলেও শেষ ম্যাচে জয়ের পর রান রেটেও এগিয়ে ছিলো তারা।

দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় লঙ্কানরা। দুই ওপেনার ৩৭ রানের জুটি গড়েন। ২১ রান করেন রাবিশান ডি সিলভা। ২৮ রান করেন আরেক ওপেনার পুলিন্দু পেরেরা। ২৫ রান করেন অধিনায়ক সিনেথ জয়াবর্ধনে। ২০ রান করেন দিনুরা কালুপাহানা, রুসান্দা গামাগে করেন ২৪ রান। শারুজান শানমুগানাথন করেন ২১ রান। ২৫ রান করে আউট হন বিশ্ব লাহিরু। ১৯ রান করেন রুবিশান পেরেরা।

বাংলাদেশের হয়ে ওয়াসি সিদ্দিকি ৩টি, মারুফ মৃধা এবং মাহফুজুর রহমান রাব্বির ২টি করে উইকেট নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান সংগ্রহ করেছিলো।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে আশিকুর রহমান শিবলি এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান-এর ৭৪ রানের জুটি দলের জয়ে ভূমিকা রাখে। ৩২ রান করে আউট হন রিজওয়ান। আশিকুর রহমান শিবলি সেঞ্চুরি করেন। তার ১৩০ বলে অপরাজিত ১১৬ রানের ওপর ভর করে ৪০.৫ ওভারে ৫৫ বল হাতে রেখেই শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।

গ্রুপ ‘এ’ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পাকিস্তান ও রানারআপ হয়ে ভারত সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। রানারআপ হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক আরব আমিরাত।

সে হিসেবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ভারত। প্রথম সেমিফাইনালে পাকিস্তান খেলবে আরব আমিরাতের বিপক্ষে। দুটি সেমিফাইনালই অনুষ্ঠিত হবে ১৫ ডিসেম্বর।

সিরিজের শেষ টেস্ট, টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

Add a subheading 19

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ।মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে  অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে  টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৫০ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের একাদশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

আজকের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশের একাদশ:

নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান ।

নিউজিল্যান্ড একাদশঃ

টিম সাউদি (অধিনায়ক), টম ল্যাথাম, কেন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়ে, হেনরি নিকোলস, ড্যারিল মিচেল, টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), মিচেল স্যান্টনার, গ্লেন ফিলিপস, কাইল জেমিসন ও অ্যাজাজ প্যাটেল।

গত বছর জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এটিই ছিল বড় কোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট জয়।

পাশাপাশি, আজ এই টেস্ট জিততে পারলে অথবা ড্র করলেও প্রথমবারের মতো কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।

খেলাধুলার আরেক নাম অস্ট্রেলিয়া

1700488881237

বিশ্বে প্রায় ২০০+ দেশ আছেই। প্রতিটি দেশে বিভিন্ন রকম খেলা আছেই। একেকে দেশ একেক খেলার জন্য বিখ্যাত। দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। ক্রিকেট দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশ খেলা। ভারত তার মধ্যে সব ছেয়ে এগিয়া ক্রিকেট বিশ্বে। তা ছাড়া পাকিস্তান,শ্রীলঙ্কা,বাংলাদেশ, বর্তমানে আফগানিস্তানে ক্রিকেট পরিচিত এবং এই সব দেশের প্রধান খেলা হচ্ছে ক্রিকেট খেলা।

Australia
Australian all champion

আবার এশিয়ার অন্যতম খেলা হচ্ছে ফুটবল, দক্ষিণ এশিয়া বাদে বাকি এশিয়া দেশগুলাতে ফুটবল খুবিই জনপ্রিয় একটা খেলা।প্রায় প্রতিটি দেশে ফুটবল খেলা হয়।

একই ভাবে ইউরোপ আমেরিকা মধ্যে ফুটবল অন্যতম প্রধান খেলা। তা ছাড়া তারা রাগবি, হকি, ক্রিকেট, অলিম্পিক ইত্যাদি খেলায় এগিয়ে আছেই। খেলাধুলার আরেক নাম অস্ট্রেলিয়া।

অন্যা সব দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়া তাদের খেলাধুলা কে অন্যা লেভেল এ নিয়ে গেছেই।তারা খেলাধুলা অন্যা সব দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছেই। খেলাধুলার আরেক নাম অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা প্রায় 26 মিলিয়ন এবং তারা বিশ্বের শীর্ষ 50 জন-বহুল দেশের মধ্যে নেই তারা, কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন।

তারা খেলাধুলার অন্যতম পাওয়ার হাউস! তারা খেলাধুলা দিয়ে আমাদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে আছেই। তারা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি খেলায় প্রভাব বিস্তার করতে আছেই। তাদের দেশে প্রায় প্রতিটি খেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং তারা প্রতিটি খেলায় প্রভাব বিস্তার করে খেলে।
বিশেষ করে, রাগবি, ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস অলিম্পিক

অস্ট্রেলিয়া পুরুষ রাগবি দল

  • সমস্ত রুবি বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে।
  • প্রতিটি রুবি বিশ্বকাপে তারা প্রভাব বিস্তার করেছে।
  • সর্বোচ্চ দুইবার রুবি বিশ্বকাপ জিতেছে।
    (শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বেশি জিতেছে তাদের থেকে।)

অস্ট্রেলিয়া পুরুষ ফুটবল দল

  • 2006 সাল থেকে প্রতিটি ফিফা বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে আছেই
  • 1997 ফিফা কনফেডারেশন কাপের রানার আপ, ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে যায়।
  • 2018  AFC এশিয়ান কাপ জিতেছে,এশিয়ার সর্বোচ্চ ফুটবল টুনামেন্ট জিতেছে
  • ব্যাক-টু-ব্যাক-টু-ব্যাক ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র দল। টানা ৩ বার চ্যাম্পিয়ন (১৯৯৯,২০০৩,২০০৭)
  • সবচেয়ে বেশি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে।
  • প্রতিটি আইসিসি ইভেন্ট অংশগ্রহণ করেছে
  • বর্তমান আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন (রানার্সআপ ইন্ডিয়া)
  • সর্বোচ্চ 6 বার ওডিআই বিশ্বকাপ জিতা একমাত্র দল।
  • আইসিসি টি20 চ্যাম্পিয়ন একবার ২০১

আরো পড়ুন: ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে, ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দল:

  • সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক আইসিসি
  • ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছে (7 )
  • সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে (6)
  • মহিলা ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা দল হিসেবে বিবেচিত হয় আছেই।
  • তাদের সাথে প্রতিধ্বনি করবে এমন মহিলা ক্রিকেট দল এখনো হয়ে উঠে নি।তাদের মহিলা ক্রিকেট এতোটাই উন্নত। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডে মহিলা ক্রিকেট এখনো এতো টা এগিয়ে যেতে পারে নাই যে অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট কে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

টেনিস অস্ট্রেলিয়ান ওপেন

  1. টেনিস বিশ্বে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন একটা জনপ্রিয় এবং নামী প্রতিযোগিতা। যেখানে খেলে থাকে বিশ্বে বড় বড় টেনিস তারকারা।
  2. অস্ট্রেলিয়া তাদের খেলা প্রতিটি খেলায় একটি প্রভাবশালী শক্তি হওয়ার জন্য সমস্ত সম্মান ও প্রশংসার যোগ্য!

এই ছাড়াও অলিম্পিক তারা মোট ১৭০ টি গোল্ড, ১৮০ টি সিলবার ,২১৮ টি ব্রোঞ্জ মেডেল জিতেছে।
টোটাল ৫৬৬ টি

টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন বিরাট কোহলি

Add a subheading 1

ভারতের রান স্কোরিং মেশিন বিরাট কোহলি আইসিসি মেন’স ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্যাট হাতে কোহলির পারফরম্যান্স  ছিল টুর্নামেন্টের একটি সংজ্ঞায়িত বৈশিষ্ট্য, ভারতের তিন নম্বর খেলোয়াড় হিসেবে তার খেলা ১১টি ইনিংসের  নয়টিতেই অন্তত একটি করে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।

টুর্নামেন্টে তার মোট রান ৭৬৫,যা এই  বিশ্বকাপে একজন ব্যাটসম্যানের করা সবচেয়ে বেশি রান।

তার করা এই রেকর্ড শচীন টেন্ডুলকারের ২০০৩ সালের টুর্নামেন্টে ৬৭৩ রান করা আগের রেকর্ডটিকে ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে, ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

কোহলি টুর্নামেন্টে ৯৫.৬২ গড় এবং ৯০.৩১ স্ট্রাইক রেট নিয়ে শেষ করেছেন, মোট তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন – লীগ পর্বে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এবং তারপর সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরও একটি সেঞ্চুরি ।

সেই তৃতীয় সেঞ্চুরিটি কোহলির ক্যারিয়ারের ৫০টি  একদিনের আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিতে নিয়ে গেছে, যা তাকে ফরম্যাটের ইতিহাসে শীর্ষস্থানীয় সেঞ্চুরি নির্মাতা করে তুলেছে।

কোহলি ‘লিটল মাস্টারের’ হোম মাঠ, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টেন্ডুলকারের দীর্ঘস্থায়ী রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে এটি ছিল নিখুঁত মুহূর্ত।

কোহলি বলেছেন ,তার ১১৭ রান ভারতকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার পর ” সব স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে,”

ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬৩ বলে ৫৪ রান করে কোহলি আরও একটি হাফ সেঞ্চুরি করে তার টুর্নামেন্ট শেষ করেন। কিন্তু তার প্রচেষ্টা বৃথা প্রমাণিত হয় কারণ ভারত জয় থেকে বঞ্চিত হয়, চূড়ান্ত বাধায় পড়ে।

ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে, ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

Add a subheading

ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, অনবদ্য সেঞ্চুরি ট্রেভিস হেডের 

বিশ্বকাপের পুরো আসর জুড়ে অপরাজিত ও বল-ব্যাটে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ভারত অবশেষে হারল। আর এই এক ম্যাচ হেরেই নিজেদের মাটিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব থেকে বঞ্চিত হলো ভারত। আর তাদেরই মাঠে, ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রবিবার রাতে ভারতের আহমেদাবাদের এই মাঠে বসে আজ খেলা দেখছেন ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি দর্শক। লক্ষাধিক সমর্থককে হতাশায় ডুবিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রফি উঠল প্যাট কামিন্স ও তার দলের ক্রিকেটারদের হাতেই।

আরও পড়ুন: India vs Australia World Cup Final | ২০০৩ এর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ দাদাদের

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স টসে জিতে যখন প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তা অনেক ক্রিকেট পন্ডিতকেই কিছুটা বিস্মিত করেছিল। কামিন্সের সিদ্ধান্ত যে বিশেষ ভুল ছিল না তা অবশ্য দশ ওভার যেতে না-যেতেই স্পষ্ট হয়ে যায় – যখন ৮১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত রীতিমতো চাপে। ততক্ষণে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন শুভমান গিল, রোহিত শর্মা ও শ্রেয়স আইয়ার।

ট্রেভিস হেডের অসাধারণ শতরান আর মার্নাস লাবুশেনের ৫৮ রানের ইনিংসের সুবাদে ভারতকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। হেড খেলেছেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের দুর্ধর্ষ ম্যাচ-জেতানো ইনিংস।

গোটা টুর্নামেন্টে এযাবত অপরাজিত থাকার পর ভারত শেষ পর্যন্ত ফাইনালে এসেই মুখ থুবড়ে পড়ল – এদিনের ম্যাচে তাদের ব্যাটিং ও বোলিং দুইই ছিল চরম নিষ্প্রভ।

ব্যাটিং যেমন গোড়া থেকেই চাপের মুখে পড়েছিল, তেমনি বোলিং ইউনিটও শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার ওপর তৈরি করা চাপ ধরে রাখতে পারেনি।

রোহিত শুরু করেছিলেন তার স্বভাবসিদ্ধ মারকুটে ভঙ্গীতেই, কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের দ্বিতীয় ওভারেই ট্রেভিস হেড অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে রোহিতকে ড্রেসিং রুমে ফেরান। পঞ্চম ওভারেই মিচেল স্টার্কের বলে অ্যাডাম জাম্পাকে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে গেছেন অন্য ওপেনার গিল শ্রেয়স আইয়ারও টিঁকেছিলেন মাত্র তিন বল। কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে তিনি যখন আউট হন, তার রান তখন মাত্রই ৪। সেই অবস্থা থেকে ভারতের ইনিংসকে কিছুটা টেনে তোলেন ভিরাট কোহলি ও কে এল রাহুলের জুটি। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি করার পর ২৯তম ওভারে কামিন্সের বলে কোহলি বোল্ড হন। সেই ধাক্কা থেকে ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপ আর কখনোই সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

অজি বোলিং তাণ্ডবে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে থামে তারা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়লেও চতুর্থ উইকেট জুটির অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৪২ বল বাকি থাকতে জয়ের দ্বীপে নোঙর করে অস্ট্রেলিয়া। আর সেইসঙ্গে পেয়ে যায় বহুল আকাঙ্ক্ষিত ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ট্রফির দেখা।

ব্যাট হতে ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলে বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য ফাইনাল হয়েছেন ট্র্যাভিস হেড। সাথে ছিলেন মারনাস লেবুশেন

এই দুই ব্যাটারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সফলতা পায় টিম ক্যাঙ্গারু। ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে প্রথমে দলীয় পঞ্চাশ, এক শ’, দেড় শ করতে করতে দুই শ’ পার করে জয়ের দুয়ারে কড়া নাড়তে থাকে হেড-লেবুশেন জুটি। এর মাঝে নিজের হাফ সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি পূর্ণ করে জয়ের দুই রান আগে থামেন হেড। তার ১২০ বলে ১৩৭ রানের স্মরণীয় ইনিংসটি ১৫টি চার ও চারটি ছক্কায় সাজান তিনি।

অন্যপ্রান্তে ১১০ বল মোকাবিলা করে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন মারনাস লেবুশেন। ব্যাট হাতে এসে প্রথম বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দুই রান নিয়ে নিলে ছয় উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।