কনকনে শীত কিংবা কাঠফাটা গরমে, দিনের শুরুতে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে ক্লান্তি যেন কাটতেই চায় না। বাঙালির একান্ত আপন হল চা। বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে নিভৃতে গল্পগুজব, বাঙ্গালীর চা না হলে যেন চলেইনা। চা খাওয়ার ৩ অভ্যাস
বিশেষ করে শীতকালে চা হয়ে ওঠে প্রিয় জনের মত। তবে এটা ঠিক যে চায়ের জনপ্রিয়তা বিশেষ কোনও মরসুমে সীমাবদ্ধ নেই। অনেকেরই সারা দিনে কয়েক কাপ চা খাওয়ার অভ্যাস আছে।
চা খাওয়া খারাপ নয়, কিন্তু কিছু ভুল অভ্যাসের কারনে অজান্তেই নিজের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। জেনে নিন চা খাওয়ার ৩ অভ্যাস, জার জন্য নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছেন
খালি পেটে চা খাওয়া
খালি পেটে চা খাওয়ার অভ্যাসটা ঘরে ঘরে রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে চা-এ চুমুক দেয় বেশির ভাগ চা প্রেমি মানুষই। এতে ঘুম আর আলসেমি কাটলেও অম্বল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। খালি পেটে গরম চা খাওয়া কোনমতেই স্বাস্থ্যকর নয়। এর ফলে পেপটিক আলসার, গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই চায়ের কাপে চুমুক না দিয়ে বরং হালকা কিছু খেয়ে তার পর চা খাওয়া ভাল।
আরো পড়ুন : জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
খাবারের সঙ্গে চা খাওয়া
ভারী খাবারের সঙ্গে চা খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। এতে করে হজমের একটা গোলমাল দেখা দেয়। তবে যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি হয় তা হল, শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে যায়। ঝুঁকি বাড়ে অ্যানিমিয়ার। লিভারেরও নানা সমস্যা হতে পারে খাবারের সঙ্গে চা খাওয়ার ফলে। তাই ভাত, রুটি, বিরিয়ানি এবং অন্য কোনও ভারী খাবারের সঙ্গে চা না খাওয়াই উত্তম।
রাতে চা খাওয়া
অফিস থেকে ফিরে এসে শরীরকে চাঙ্গা করার জন্য এককাপ চা না হলেই নয়। বাসায় ফিরতে যত রাতই হোকনা কেন বাসায় ঢুকে চা খান অনেকেই। আবার রাত জাগার জন্যেও অনেকে বার বার চা খেয়ে থাকে। রাত করে চা খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ভাল নয়। চায়ে থাকা থিয়োফাইলিনস নামক টকসিন মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে দীর্ঘ ক্ষণ। তার পলে সহজে ঘুম আসতে চায় না। রাতে চা খাওয়ার অভ্যাসে অনিদ্রা রোগ দেখা দিতে পারে। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টার মধ্যে চা না খাওয়াই উত্তম।