ঘূর্ণিঝড় মিগজ্যাউম ৫ ডিসেম্বর উপকূলে আঘাত হানতে পারে

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘু চাপটি আরও ঘণীভূত হয়েছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যা বৃহস্পতিবার নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মিগজ্যাউম। 

আরো পড়ুন:ঘূর্ণিঝড় হতে পারে,লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে সাগরে

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি  ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে। শুক্রবার এর গতিপথ স্পষ্ট হবে।

ওমর ফারুক জানান, এর প্রভাবে সাগরের তাপমাত্রা বেড়ে ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এখন চরম উত্তাল রয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে সারা দেশে তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আকাশে ঘন মেঘ থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।

আরো পড়ুন :  লঘুচাপ নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক এবং আকাশ আংশিক মেঘলা ছিলো। এছাড়া সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এসময় রাজধানীর তাপমাত্রা ছিলো ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আরো পড়ুন :  চোখ লাল হলে যা করণীয়

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর উপকূলে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি কমে আসে। মিধিলি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। এরপরও ঝড়ের কারণে নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায়। ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে সরকারি হিসাবে দেশের অন্তত ১৫ জেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

মিধিলির প্রভাবে টানা বৃষ্টি এবং গাছ ও দেয়ালচাপায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে দেয়াল ধসে ৪ জন এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, মিরসরাই ও টাঙ্গাইলে ঝড়ে গাছ পড়ে ৩ জন মারা যান।

Leave a Comment